‘কে তুমি’
কোন দেশে বাড়ি তোমার
কোথায় তুমি থাকো,
এক পলকেই দেখে যেন,
তুমি আমায় মনে রেখো৷
তারে ধরতে গেলে যায় না চেনা
দূরে গেলে পর
আমি কেমনে নিব তার খবর৷
ইচ্ছে গোধুলির আলোর তীরে
দেখি তারে মন ভরে৷
তারে যায় না যে ছোঁয়া,
শুধু তারই ছায়া৷
কোন দেশে বাড়ি তোমার
কোথায় তুমি থাকো৷
এক পলকেই দেখে যেন,
দূর থেকেই মনে রেখো
দুলে দুলে মনো দুলে
আমি অনুশোচনায়
কি থেকে কি হল সারাদিন
তোমারি ভাবনায়৷
তারে ধরতে গেলে যায় না চেনা
দূরে গেলে পর
আমি কেমনে নিব তোমার খবর৷
কবিতার নাম
‘তোমার ঐ সানগ্লাসটা’
তোমার ঐ সানগ্লাসটা
হরণ করেছে আমার মনটা;
তোমার ঐ খোপার চুলটা
রংধনুর স্বপ্ন আঁকা৷
তোমার ঐ দূর চাহনি
আমার চোখ রজনি৷
তোমার ঐ দু’হাতের ভাজ
আমায় মন মাতানো নাচ৷
তোমার ঐ বসে থাকা ধরণ
আমার হৃদয়ে জাগে শিহরণ
তোমার ঐ অনুভূতি
আমার নয়ন যতি৷
তোমার ঐ দিগন্তে মনসা
আমার কাছে ভরসা৷
আমি অনেক ভালোবাসি
তোমার ঐ সানগ্লাসটা৷
কবিতার নাম
‘ভালোবাসি সবই’
ভালোবাসি কারো এক সকাল
ভালোবাসি কারো এক বিকাল৷
ভালোবাসি কারো চেনা গোধূলী
ভালোবাসি কারো চোখের বালি৷
ভালোবাসি কারো একটা হাসি
ভালোবাসি কারো সুরের বাঁশি৷
ভালোবাসি কারো মিষ্টি কথা
ভালোবাসি কারো মনে ব্যথা৷
ভালোবাসি কারো ঐ সবুজ
ভালোবাসি কারো ঐ অবুঝ৷
ভালোবাসি কারো নীল আকাশে
ভালোবাসি কারো মুক্ত বাতাসে৷
ভালোবাসি কারো সাদা-কালো
ভালোবাসি কারো প্রদীপের আলো৷
ভালোবাসি কারো যা কিছু
ভালোবাসি কারো সব মিছু৷
ভালোবাসি কারো অপলক
ভালোবাসি কারো নাকে নোলক৷
ভালোবাসি কারো ইচ্ছে ডানা
ভালোবাসি কারো যত মানা৷
ভালোবাসি কারো পাখির ডাক
ভালোবাসি কারো আমায় মনে থাক৷
ভালোবাসি কারো পদ্ম ফুল
ভালোবাসি কারো চেনা-অচেনা ভুল৷
ভালোবাসি কারো এলোমেলো
ভালোবাসি কারো দিন ভালো৷
ভালোবাসি কারো হাঁটার ছল
ভালোবাসি কারো চোখের জল৷
ভালোবাসি কারো শত অভিমান
ভালোবাসি কারো মনপ্রাণ;
ভালোবাসি কারো হঠাৎ আহব্বান৷
ভালোবাসি কারো ভালো থাকা
ভালোবাসি কারো ঘ্রিণায় মৱে রাখা৷
ভালোবাসি কারো হাতে ঘড়ি
ভালোবাসি কারো কষ্টের ডাইরি৷
ভালোবাসি কারো মুখ বাঁকা
ভালোবাসি কারো কথা না রাখা৷
ভালোবাসি কারো নিয়তি বাঁধা
ভালোবাসি কারো অংকের গাঁধা৷
ভালোবাসি কারো এক মুটু গোলাপ
ভালোবাসি কারো হঠাৎ ফোনালাপ৷
ভালোবাসি কারো রোজ রোজ
ভালোবাসি কারো মনে খুঁজ৷
ভালোবাসি কারো বিরহের কবিতা
ভালোবাসি কারো প্রেমের সবই তা৷
আমি ভালোবাসি সব ভালোবাসি৷
হতে চাই মুক্ত রাঙার পাখি
সুখ-দুঃখ যেথায় এক পাথরে রাখি৷
চারিদিকে সবুজ ছিটিয়ে রং
মাঠে রেখেছি সোনার পালং
সাথে লাল টিপটি
কখনো হাসি কখনো ডং
কখনো মুখে আঙ্গুল রেখে চুপটি;
অপূর্ব সুন্দর ঝলমল তার চোখটি৷
হাওয়ার মাতালে রোদে গা জ্বলে
মন বলে ঐ সকালে
সে এক চিত্র আঁকালে৷
মাঠের ঐ দিগন্তের মেলা
আবার হরদমে আমি চলছি একেলা৷
মুখে হাত রেখে চোখ বেঁকে
হঠাৎ সুর মুখে গাই কবিতা
আমি যা তুমি কি তা?
যদি হয়ে ঘুড়ি উড়ি আকাশে
তুমি কি মিশবে ঐ বাতাসে
সুখ-দুঃখ যেথায় দু’জনার পাশে৷
আমি হলাম মুক্ত রাঙার পাখি
হুম, হুম আমি সবার কথা রাখি৷
জীবন এক বিরক্তিকর অধ্যায়।
তবুও পরবর্তী পরিচ্ছেদে
তুমি আছ ভেবে পাতা উল্টাই।
মিষ্টি চাঁদের মিষ্টি আলো,
বাসি তোমায় অনেক ভালো.
মিটি মিটি তারার মেলা,
দেখবো তোমায় সারাবেলা.
নিশিরাতে শান্ত ভুবন,
চাইবো তোমায় সারাজীবন.
টাপুর টুপুর বৃষ্টি লাগছে দারুন মিষ্টি,
কী অপরুপ সৃষ্টি দেয় জুড়িয়ে দৃষ্টি,
বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় তাজা ফুলের গন্ধয়ে,
মনটা নাচে ছন্দে উতলা আনন্দে,
জানু তোমার জন্য
ভালবেসে এই মন,
তোকে চায় সারাক্ষন।
আছিস তুই মনের মাঝে,
পাশে থাকিস সকাল সাঝেঁ।
কি করে তোকে ভুলবে এই মন,
তুই যে আমার জীবন।।
তোকে অনেক ভালবাসি
চোখে আছে কাজল কানে আছে দুল,
ঠোট যেন রক্তে রাঙা ফুল,
চোখ একটু ছোট মুখে মিষ্টি হাসি,
এমন একজন মেয়েকে সত্যি আমি ভালোবাসি।
ভালবাসা মানে আবেগের পাগলামি,,
ভালোবাসা মানে কিছুটা দুষ্টামি ।
ভালোবাসা মানে শুধু কল্পনাতে ডুবে থাকা,,
ভালোবাসা মানে অন্যের মাঝে নিজের ছায়া দেখা
তোমার প্রতিটা মুহূর্ত
আমার সাদা-কালো ফ্রেমে বন্দি রাখব৷
হে, আমি আঁকব আর আঁকব,
তোমাকে হারাতে চাই না আমি তাই
নীল দ্বীপপুঞ্জে আমি দাঁড়িয়ে থাকব৷
আমি লিখব
তোমার গাওয়া গান
আমি ভাববো তোমার চিত্রা৷
আনমনে দুটি বাহু লগ্নে
তোমার মগ্নে
আমিই যে থাকব৷
যত অভিনব, যত তুমি সব
একাএকার করে দিব
ঐ পান কৌড়ির মাঠ৷
নিরব আভাবেগ
স্বপ্নের ডের
আমি আঁকব নীল দ্বীপপুঞ্জে
তোমার অনুভুতি৷
তোমার শিয়রে
আমি থাকব, আমি থাকব দাঁড়িয়ে৷
ঝিলিমিলির সহসা আলপনা
বলনা বলনা,
“ভালোবাসি তোমায়
আমি তোমার প্রিয় হয়ে৷”
আমি মেঘের ভেলায় বসে
তোমার ঐ বানান বৈঠা হাতে
একটু একটু করে বাই,
আর গল্প করি
তুমি ছিলে পাশে
তাই, মাঠের ভরা রৌদ্র
আমি উর্ধ, যত সব
তোমারি বাণী শুনে৷
টগর জুঁইয়ে গাথা মালা
পড়িয়ে তুমি দিলে জ্বালা
আমি শুনি কানে
একটাই ধ্বনির আওয়াজ
আমি ভালোবাসি ভালোবাসি
তোমাকে৷
তোমার জানা-অজানা সময়ে৷
বনে বনে শনি তোমার
কোকিল সহরা
হে প্রিয়, প্রিয় অধরা৷
নবতন একগুচ্ছ চাওয়া
আবার মিলিয়ে যাওয়া
দায়িত্বহীন অবক্ষয়ে
আমি পারব পারব
যেতে বয়ে শত প্রাণাগাতে৷
শুধু তুমি থেক পাশে, কেমন৷
তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠি
কতোবার দ্বারস্ত হয়েছি আমি
গীতিকবিতার,
বনে বনে ঘুরে আহরণ করেছি পাখির শিস্
উদ্ভিদের কাছে নিয়েছি শব্দের পাঠ;
তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠি
সংগ্রহ করেছি আমি ভোরের শিশির,
তোমাকে লেখার মতো প্রাঞ্জল
ভাষার জন্য
সবুজ বৃক্ষের কাছে জোড়হাতে
দাঁড়িয়েছি আমি-
ঘুরে ঘুরে গুহাগাত্র থেকে নিবিড়
উদ্ধৃতি সব করেছি চয়ন;
তোমাকে লিখবো বলে
জীবনের গূঢ়তম চিঠি
হাজার বছর দেখো
কেমন রেখেছি খুলে বুক।